High School Student Studying in Library

পড়া মনে রাখার কৌশল

স্মৃতিশক্তি বা মেধা সবার এক নয়। কেউ অনেক দিন মনে রাখতে পারে আবার কেউ হয়ত পারে না । তবে পড়ার খানিক বা কয়েকদিন পরই সব ভুলে গেলে, তার প্রাপ্তিটা কি? তেমন কিছুই না। তাই পড়াগুলো ভালোভাবে মনে রাখার কৌশলটা জানা থাকা প্রয়োজন।
পড়ার সময়টা বেছে নেয়া খুব জরুরি। কখন কোন বিষয়টি নিয়ে পড়লে আয়ত্ত করে সুবিধা হয় তা ভেবে ঠিক করে নেয়া। সকাল হচ্ছে পড়ালেখার উত্তম সময় । পড়ালেখা মনে রাখার প্রথমে সম্পূর্ণ বিষয়টি একবারব বা দুইবার মনোযোগ সহকারে পড়া। তারপর আস্তে আস্তে বোঝার চেষ্টা কর। যে বিষয়টি নিয়েই পাঠ শুরু করো না কেন বিষয়টি কি তা বুঝে উঠাটা সবচেয়ে জরুরি। পাঠটি ভালোভাবে অনুধাবন না করতে পারলে মনে রাখা যায় না। যদি কোন পাঠ বুঝতে সমস্যা থাকে তাহলে সে সমস্যাটা সমাধান করে নিয়ে পড়লে অনায়াসে তা আয়ত্ত করা যায়।
প্রতিদিন অনুশীল না চালিয়ে গেলে কোন সহজ বিষয়ও মনে থাকে না। অল্প করে হলেও একটা রুটিন মেনে প্রতিদিনের পাঠগুলো নিয়মিত পড়তে থাকলে এ চর্চা মনে রাখার ক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা রাখে।
শব্দহীনভাবে পড়ার চেয়ে শব্দ করে পড়া মনে থাকে বেশি। যখন তুমি শব্দ করে পড়ছো তখন তুমি যা পড়ছো সেটাই আবার শুনতে পাচ্ছো এতে করে বিষয়টার প্রতি বা যে পাঠটি নিচ্ছিলে সেটা অনেক ভালোভাবে তোমার স্মৃতিকে আর্কষণ করে এবং স্মৃতিতে তা থেকে যায়।
ঘুমের সময় বায়োলজিক্যাল ক্লক অনুযায়ী নির্ধারণ কর। পড়তে মন না বসলেও অনিচ্ছা সত্ত্বে পড়তে বস। অনেক সময়ই দেখা যায় পড়ার প্রতি প্রবল এক অনীহা কাজ করতে থাকে। পড়ার টেবিলে বসতে একেবারেই মন চায় না। এভাবে বেশি সময় ধরে চলতে থাকলে ব্যাপারটা একটা স্থায়ী প্রভাব তৈরি করে।
তাই কোন কোন সময় ভালো না লাগলেও নিয়মিত পড়াশোনা করার যে রুটিন সেটা ভঙ্গ না করাই ভালো। এতে করে অনুশীলনের অভ্যাসটা থেকে যায়। আর নিয়মিত পাঠ মনে রাখতে সহায়ক হয়। পড়ার রুটিনটা এমনভাবে সাজাতে হবে যেন অতিরিক্ত রাত করে ঘুমাতে না যেতে হয়। ঘুম একটা প্রয়োজনীয় ব্যাপার। বেশি বেশি রাত জাগলে স্মৃতি সংকট দেখা দেয় এবং সহজ বিষয়গুলোও ভুল হয়ে যায়। তাই রাত জাগার চেষ্টা না রাখাই ভালো। নিয়মিত অন্তত ৩০ মিনিট হালকা শরীর চর্চা করা শরীর ভালো থাকলে মানসিকভাবে সুস্থির থাকা যায় এবং স্থির একটা মন নিয়ে পড়া শুরু করলে ভালো ফলাফল কেবল সময়েরই ব্যাপার।
নিয়মিত শরীর চর্চা করুন এতে মস্তিষ্কে রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে। এমন একজন বন্ধু নির্বাচন করো যার সঙ্গ তোমাকে প্রতি নিয়ত বুদ্ধির করসত করতে উৎসাহিত করবে। নিজেকে সব সময় ওই সব কাজের মাঝে ব্যস্ত রাখো যে ক্রিয়াশীলতা তোমার বুদ্ধিমত্তাকে আরো বাড়িয়ে তুলতে সহায়ক হবে। মানসিক কোন চাপ নেবে না। মানসিকভাবে অস্থিরতা তোমাকে শারীরিকভাবেও অসুস্থ করে রাখবে। এতে করে পড়াশোনায় তুমি দিন দিন পিছিয়ে পড়বে।
কোন বিষয়ই তুমি স্বাভাবিক মনোযোগ নিয়ে পড়তে পাড়বে না। মানসিক চাপ স্মৃতি শক্তিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অবসর সময়ে বই পড়া খেলাধুলা কর এবং নিজের বিনোদনের ব্যবস্থাটা যেন সুস্থচর্চা হয় এ বিষয়টা খেয়াল রাখবে। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে সারাদিন কি কি করেছে তা মনে করার চেষ্টা কর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     আরো খবর